প্রাচীন দুর্গ পর্দা দেয়াল
দুর্গের পর্দা প্রাচীর মধ্যযুগীয় দুর্গ নির্মাণের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক স্থাপত্য বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি। এই ভয়ঙ্কর পাথরের প্রাচীরগুলি সাধারণত 20 থেকে 40 ফুট উচ্চতা এবং সর্বোচ্চ 12 ফুট পর্যন্ত পুরু হত এবং দুর্গের অভ্যন্তরীণ অংশকে রক্ষা করার জন্য প্রধান প্রতিরক্ষামূলক বাধা হিসেবে কাজ করত। প্রাচীরটির ডিজাইনে ব্যাটলমেন্ট, তীর ফাঁক, এবং মেচিকোলেশনসহ একাধিক জটিল প্রতিরক্ষামূলক উপাদান অন্তর্ভুক্ত ছিল। ব্যাটলমেন্টগুলি আক্রমণকারীদের আত্মরক্ষার সুযোগ দিত যখন তারা পাল্টা আক্রমণ চালাচ্ছিল, যেখানে তীর ফাঁকগুলি ধনুর্ধরদের জন্য সরু খোলা জায়গা প্রদান করত যারা আগামী শত্রুদের লক্ষ্য করছিল। প্রাচীরের নির্মাণে সাধারণত পাথরের কোরের সাথে সজ্জিত পাথরের মুখ দিয়ে তৈরি করা হত, যা প্রায় অপরিবর্তনীয় বাধা তৈরি করেছিল। সময়ের প্রকৌশলীরা একটি সামান্য ঢালু ভিত্তি নামে পরিচিত বেটার নামে উন্নত নির্মাণ পদ্ধতি প্রয়োগ করেছিলেন, যা প্রাচীরের ভিত্তিকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি প্রক্ষেপণ ক্ষেপণাস্ত্রগুলি প্রতিহত করতে সহায়তা করেছিল। প্রাচীরটি প্রায়শই টাওয়ারের একটি সিরিজ সংযুক্ত করে, একটি একীভূত প্রতিরক্ষামূলক নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিল যা প্রাচীরের দৈর্ঘ্য বরাবর আগুনের কভার প্রদান করার অনুমতি দিয়েছিল। পাশাপাশি, প্রাচীরের উচ্চতা এবং পুরুতা মধ্যযুগীয় ঘেরাও ইঞ্জিনগুলির বিরুদ্ধে একটি কার্যকর প্রতিরক্ষা প্রদান করেছিল, ব্যাটারিং র্যাম এবং ঘেরাও টাওয়ারসহ।